আপনার সিজদা কি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে?
ছয়টি চমৎকার কৌশল ।
একটু ব্যাখ্যা করে বলি-
.
১) তুচ্ছতার অনুভূতি
— মনে মনে চিন্তা করুন, আপনি কার সামনে মাথা ঠেকিয়েছেন। রবের বড়ত্ব, মমত্বের কথা ভাবুন। সঙ্গে নিজের গুনাহের বোঝাও চিন্তা করুন। দেখবেন নিজেকে বড্ড তুচ্ছ মনে হচ্ছে তখন। সিজদায় এই তুচ্ছতার অনুভূতি বড্ড প্রয়োজন।
.
২) নৈকট্যের অনুভূতি
— হাদীসে এসেছে, বান্দা যখন সিজদায় থাকে তখন আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। এই হাদীস স্মরণে রাখলে দেখবেন, একপ্রকার নৈকট্যের অনুভূতি কাজ করছে।
.
৩) ভগ্ন হৃদয়ের প্রার্থনা
— প্রিয়জনের সাথে দীর্ঘদিন পর সাক্ষাতে আমাদের হৃদয়টা যেমন বিগলিত হয়ে পড়ে, আল্লাহর সঙ্গে সিজদায় সাক্ষাৎ করতে পেরে এর চেয়েও বিগলিত হওয়া জরুরী। প্রিয়জন আমাদের খাওয়ায় না, পরায় না। আল্লাহ আমাদের খাওয়ান, পরান, প্রতি মুহূর্তে অবাধ্যতা সত্ত্বেও অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন, তড়িৎ শাস্তি দেন না। কাজেই আল্লাহর জন্য হৃদয়টা সঁপে দিন।
.
৪) গুনাহের বোঝা হালকা হবার অনুভূতি
— হাদীসে এও এসেছে, বান্দা যখন জমিনে মাথা ঠেকায়, তখন তার গুনাহ ঝড়ে পড়তে থাকে। সালাতের ভিতর মনকে দিক বিদিক না ছুটিয়ে এই চিন্তাটা জাগ্রত রাখুন। দেখবেন একেকটা সিজদা আপনাকে গুনাহের বোঝা হালকা হবার অনুভূতি দিচ্ছে।
.
৫) একমাত্র আল্লাহর আনুগত্যের অনুভূতি
— সিজদা শুধু আমি আল্লাহকেই করি, জীবন মরণ, সবকিছু আমার আল্লাহর জন্যই, এভাবে সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা-এর যিকিরে ডুবে যান।
.
৬) শয়তানকে পরাজিত করার আনন্দ
— বিশুদ্ধ হাদীসে এসেছে, বনী আদম যখন সিজদা দেয়, তখন শয়তান হতাশ হয়ে পড়ে। কাজেই সিজদা দিতে পেরে আনন্দিত হোন। কারণ, আপনি শয়তানকেই পরাজিত করছেন।
Joly12
Eliminar comentario
¿ Seguro que deseas eliminar esté comentario ?