হারিছা থেকে বর্ণিত। সিরিয়া থেকে এক দল লোক উমারের (রাঃ) নিকট এল। তারা বললোঃ আমরা কিছু সম্পত্তি, কিছু ঘোড়া ও কিছু দাসদাসী পেয়েছি। আমরা চাই এগুলোতে যাকাত ও পবিত্রতার ব্যবস্থা করা হোক। উমার (রাঃ) বললেনঃ আমার দু’জন সাথী [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বাকর (রাঃ)] ইতিপূর্বে এটা করেননি যে, আমি তা করবো। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করলেন। তাদের মধ্যে আলীও (রাঃ) ছিলেন। আলী (রাঃ) বললেনঃ এগুলোতেও যাকাতের প্রচলন করা ভালো যদি তা নিয়মিত জিযিয়ায় পরিণত না হয়, যা আপনার পরবর্তীকালে তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে।
(সম্ভবতঃ তারা সিরিয়ার খৃস্টান ছিল, তাই জিযিয়ায় পরিণত না করার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। ঘোড়া ও দাসদাসীতে যাকাত প্ৰচলিত ছিল না। উমারের এ পদক্ষেপ দ্বারা বুঝা গেল, যে সকল সম্পদে যাকাত ধার্য নেই, তাতে মালিক স্বেচ্ছায় কিছু দিতে চাইলে ইসলামী রাষ্ট্র পরামর্শত্রুমে যে কোন পরিমাণে ও যে কোন হারে যাকাত বা সাদাকা নিতে পারে। তবে তা অবশ্যই স্বেচ্ছায় দিতে ইচ্ছুক। এমন মালিকদের মধ্যেই সীমিত থাকবে। -অনুবাদক)