আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার সমগ্র অস্তিত্বকে ভালবাসে।যদি কেহ আমাদের একটি চুল ছিড়িতে চাহে,তবে আমরা তাহার প্রতি অত্যন্ত রুষ্ট হই।যদিও আমাদের দেহের প্রতি মমতা আমাদের গোটা দেহে ছড়াইয়া রহিয়াছে এবং আমাদের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সত্যিকার ভাবে আমাদের নিকট প্রিয়, আমরা কোনটিরই ক্ষতি চাহিনা ;তথাপি একতা স্বতঃসিদ্ধরূপে সত্য যে,আমরা আমাদের সব অঙ্গের প্রতি সমান ও একই পর্যায়ের মমতা পোষণ করি না ;বরং কোমল ও প্রধান অঙ্গগুলির ভালবাসা,যাহাদের উপর আমাদের উদ্দেশ্যের অনেক কিছু নির্ভর করে,আমাদের হৃদয়ে প্রবল থাকে। সেইরূপ আমাদের দৃষ্টিতে অঙ্গ সমষ্টির জন্য আমাদের ভালবাসা একটি অঙ্গের প্রতি ভালোবাসা অপেক্ষা অনেক অধিক।সুতরাং যদি কখনওআমাদের এমন ঘটনার সম্মুখীন হইতেই হয় যে,কোন উচ্চ পর্যায়ের অঙ্গ রক্ষার্থে নীচু শ্রেণীর অঙ্গ কর্তন,ভঙ্গ বা জখম করিবার প্রয়োজন হয়,তখন আমরা প্রাণ রক্ষার্থে কোন দ্বিধা না করিয়া সেই অঙ্গচ্ছেদ বা কর্তনে প্রস্তুত হই।যদিও তখন আমাদের হৃদয়ে এই বলিয়া দুঃখ হয় যে,আমরা আমাদের একটি প্রিয় অঙ্গকে জখম করিতেছি বা কাটিয়া ফেলিতেছি। তবুও আমরা এই ভাবিয়া উহা কর্তনে প্রস্তুত হই,পাছে না এই অঙ্গের অপকারিতা সুস্থ এবং কোমল অঙ্গগুলোকে নষ্ট করিয়া ফেলে।সুতরাং এই দৃষ্টান্ত হইতেই বুঝিতে হইবে যে, খোদাও যখন দেখেন তাঁহার সাধু বান্দাগন অসত্যের উপাশকদের হস্তে ধ্বংস হইতেছে এবং ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা বিস্তৃত হইতেছে ,তখন তিনি সাধুগণের প্রাণ রক্ষা এবং ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটান আকাশ হইতেই হউক বা পৃথিবী হইতেই হউক ;কেননা,তিনি যেমন পরম দয়াময় তেমনই পরম প্রজ্ঞাময়ও বটেন।(ইসলামী নীতি দর্শন - পৃষ্ঠা ১৪৪)।
সংগৃহীত,
হাফেজ আবদুল আলীম ফুলবাড়িয়া।
Mdkausar5566
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?