আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের চারপাশে এত এত এত বেকারত্ব বা জব পাওয়া নিয়ে ভয়াবহ ট্রাবলের অন্যতম প্রধান কারন হল,
চাকরির আবেদন বা এপ্রোচ এবং ইন্টারভিউকে সিরিয়াসলি না নেয়া।
যে কারনে, ইন্টারভিউতে আসার আগেই সিংহভাগ আবেদন বাদ পড়ে যায়। নিজের যোগ্যতা উপস্থাপনেরই সুযোগ হয় না।
আজ সকালেই মাত্র বিজ্ঞাপন দিয়েছি। প্রায় ১০ টা পজিশনের জন্য। সহজ বাংলায় লেখা চাকরির বিজ্ঞাপন। তাতে স্পষ্ট করে, সহজ করে বলা হয়েছে, কভার মেইল দিতে হবে, এবং সেখানে কাঙ্খিত বেতন লিখে দিতে হবে। আর মেইলের সাবজেক্টে কাঙ্খিত পজিশন ও বিভাগ লিখে দিতে হবে।
ফ্রেশার বা অন্য অভিজ্ঞতার কেউ যেন আবেদন না করেন বলে দেয়া হয়েছে।
লাঞ্চের পরে মোট ১৫০ টা মেইল একটা একটা করে দেখছি। নিজেই।
আমার অভিজ্ঞতা হরাইবল না, হরিবোল।
কভার মেইল প্রায় কেউ লেখেননি। সাবজেক্টে পজিশন লেখার চাপ কেউ নেননি। ৯৮%ই শুধু একটা রিজিউম এটাচ করে কাজ সেরেছেন। সেই রিজিউম ফাইলের আবার নাম ’নীল আসমান’।
এদের কেউই ফ্রেশার নন। কমবেশি বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছেন।
এতদিনেও ইন্টারভিউ আবেদন ও ফেসিংয়ে সিরিয়াস হতে হয়-সেটুকুুও আত্মস্থ করতে পারেননি।
সকালেই একজন ডেজিগনেটেড HR অফিসারের অনলাইন ইন্টারভিউ ছিল। এটেন্ড করেননি। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ফোন করেছি। তিনি ফোন ধরে বললেন, আমি তো অপেক্ষা করছিলাম। আমাকে কীভাবে কী ইন্টারভিউ করেন, সেজন্য। বললাম, আপনাকে তো মেইল করেছি লিংকসহ। সেটা পড়েছেন। পড়েছি। কী আছে তাতে?
”স্যার, খালি একটা মেইল আইডি দেহায়।”
আমি মেইলের প্রিন্ট কপি এনে চেক করলাম। পরিস্কার ভাষায় দিন, ক্ষণ, সময়, পজিশন, প্রতিষ্ঠান, কারন, গুগল মিট লিংক সব দেয়া। একটা প্রতিষ্ঠানের ডেজিগনেটেড এইচ.আর অফিসার। একটা ইংরেজি মেইল পড়ে গুগুল মিটে জয়েন করতে অক্ষম।
এত কিছুর পরেও আমার মনে হয়, জিনিসটা অযোগ্যতার না, সবকিছুকে লাইটলি সেবার ফল এটা।