মানুষ হয়ে মানুষ পেটান
সামান্য কী বুক কাপেনা?
অধিকার চাইলো যারা
তারাই বা কী খুব অচেনা?
দলের চেয়ে না দেশটা বড়
তাহার চেয়েও বড় মানুষ
এতই অন্ধ হলাম কবে,
ফিরবে কবে মোদের হুশ?
একটু খানি জিরিয়ে ভাবুন
দোহাই একটু আস্তে মারুন
ভাইয়ের গায়ে বোনের গায়ে আঘাত করতে হাত কাপেনা?
মানুষ হয়েই কি লাভ হলো, আজ মানুষ লাগে খুব অচেনা।।
অনার্স পাস করেও এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে চাকরি পাচ্ছে না!
হঠাৎ একদিন চিড়িয়াখানায় তার একটা চাকরি হয়ে গেল। চিড়িয়াখানার বাঘটা হঠাৎ করে মারা যাওয়ায় খাঁচাটা শূন্য পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ বললঃ তুমি যদি খাঁচার ভেতর একটা বাঘের পোষাক পরে বাঘের মত তর্জন গর্জন দিতে পারো তাহলে মাসে ৮হাজার টাকা পাবে। বেকার ছেলেটা তাতেই রাজি।
রোজ চিড়িয়াখানা খোলার আগে সে বাঘের পোষাক পরে খাঁচায় ঢুকে পড়ে। দর্শক এলে তাদেরকে তর্জন- গর্জন ও আরো নানা কায়দা-কুসরত দেখিয়ে ভীষণ আনন্দ দেয়। দেখতে দেখতে চিড়িয়াখানার দর্শক বেড়ে গেল। বাঘের খাঁচার সামনে বিরাট ভিড়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও খুশি হয়ে বেতন বাড়িয়ে দিল।
ভালোই চলছিল দিন....... হঠাৎ একদিন হলো বিপত্তি...!!! বাঘের খাঁচার পাশেই ছিল সিংহের খাঁচা। দুই খাঁচার মাঝে একটা লোহার জালের বেঁড়া। একদিন সেই বেঁড়া ধরে লাফিয়ে নেচে- কুদে মজা দেখাতে গিয়ে পুরনো বেঁড়া ভেঙ্গে সে গিয়ে পড়লো সিংহের খাঁচার ভেতর। এখন কী হবে? পৈতৃক প্রাণটা বুঝি আজ সিংহের হাতেই গেল...!
ভয়ে জবু থবু হয়ে খাঁচার এক কোনে বসে দোয়া-দুরুদ পড়তে লাগলো বেচারা। এদিকে সিংহটাও কিছুক্ষণ চুপকরে বসে থেকে ধিরে ধিরে উঠে দাঁড়ালো। তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগলো তার দিকে। ভয়ে তো তার প্রায় হার্ট এটাক হবার যোগার।
এদিকে সিংহটা এক্কেবারে কাছে চলে এসেছে। প্রাণের মায়া ছেড়ে দিয়ে ছেলেটা যখন কালেমা পড়তে শুরু করলো.... ঠিক তখন সিংহটা বলে উঠলো . . . . ভাই, এতো ভয় পাবেন না, আমিও অনার্স পাশ বেকার।
এ শহর ও শহর ছেড়ে যেতে যেতে
একদিন সব ছেড়ে ওপারে চলে যাব।
এপারে কাঁদবে না কেউ,
কিছু পিছুটান— মুছে দেবে সময়!
অথচ, সেদিনও আকাশ থাকবে
থাকবে মুগ্ধতারাও!
আক্ষেপ, এতটা ভালোবেসেও
অব্যক্ত থেকে যাবে সব কথা!
প্রিয় আকাশ,
জানবেই না— কতটা ব্যাকুলতা নিয়ে
চলে গেছে একটা হৃদয়!
নাকি সেদিনের পরও
মন খারাপ হবে আকাশের!
অঝোরে ঝরে গেলে লোকে বলবে;
ঐ যে দেখুন— আকাশ কাঁদছে!
Md Robiul Islam
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?