সম্প্রতি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঘটেছে নজিরবিহীন ঘটনা। ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) আর্কিটেকচার বিভাগে প্রভাষক নিশাদ জাহান ইতু মিয়াজি। টিকটক’ ভিডিও কনটেন্ট তৈরির জন্য বেশ আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত সমালোচিত। তাই এমন একজনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় আপত্তি তুলেছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা।
তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করা এবং ক্লাস টপার।
এবার আসি মূল কথায়, "দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য"
বুয়েটের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী কিভাবে টিকটকার হলেন তা আমার বোধগম্য নয়। তাহলে কি বলতে হয় আমাদের শিক্ষা আমাদের মূল্যবোধের ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসছে না? আমাদের চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসছে না? লজ্জা শালীনতার ক্ষেত্রে শিক্ষা কোনো ভূমিকা রাখছে না?
আমি মনে করি এই শিক্ষার্থী অন্তত শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। একজন শিক্ষকের যে নৈতিক ভিত্তি দরকার, সেটি তাঁর মধ্যে নেই। একজন শিক্ষক শুধু মাত্র তার শিক্ষার্থীদের কাছে আদর্শের বিষয় না, বরং একটি সমাজ এবং রাষ্ট্রের আদর্শের মাপকাঠি। এই শিক্ষার্থী তাঁর টিকটক ভিডিওতে অশ্লীলতা ছড়িয়েছেন, বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিতে অশ্লীলতাকে প্রমোট করেছেন। যাঁর মাধ্যমে বেরিয়ে আসছে তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য।
ডুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি দাবি জানাচ্ছি এই শিক্ষার্থী যেনো অন্তত অন্য কোথাও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না পায়।
©হাসান আল মামুন
Shino
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Md Tamim Ahmed Shohag
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?