কবিতার নাম :আবার এলো কোরবানী
কবি: মোহাম্মাদ মেজবাহ উদ্দিন
লেখা :১৬ /০৬/২০২৪ইং
মিরপুর ঢাকা।
প্রতিবছর ফিরে আসে ধর্মীয় একটি আমল কুরবানী,
কোরবানির মাঝে একটি আমল আমরা মানি।
যাদের কুরবানী করা ওয়াজিব কুরবানী তারা করবেন,
বণ্টন নামায় গরিবদের ভাগ সুষম পরিবেশন করবেন,
সর্বপ্রথম ঠিক রাখিবো নিজের নিয়েত নামা,
আল্লাহর জন্য কুরবানী করিতেছেন যাহা থাকবে আমল নামায় জমা।
কুরবানী নয়তো লোক দেখানো উৎসব নাম ডাকের নয়তো গোস্ত খাওয়ার,
কুরবানী শুধু গরু কাটা নয় আপন নাফসকে কুরবানী দেওয়ার।
সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থেকে সরল পথে চলা,
হালাল খাওয়া হারাম থেকে বিরত থাকা সৎ কাজ করা দান করা সত্য কথা বলা।
দুনিয়ার ধন দৌলত জমি নারী দালান বাড়ি সংসারের মায়া এটা জেন আমাদের রোগ,
চলে যাবো একদিন এই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে সবাই
করবে শোক।
এসব কথা চিন্তা করে আল্লাহর জন্যই কুরবানী করিব ,
আগামীকাল ঈদের মাঠে ঈদের নামাজ পরিব,
নামাজ শেষে বাড়িতে গিয়ে যার যার মনোনীত জীব পশু কোরবানি করিব।
সমাপ্ত।

এটা আমার কবিতার পাতা,
এটা আমার মনের খাতা।
প্রত্যেকের মনের কথা,
হৃদয়ে উদিত ব্যথা।
এই পেজে লিখে দিবেন,
আমার কবিতায় উৎসাহ দিবেন, আনন্দ পাবেন।
সাথে আপনার মনের কথাও লিখবেন।
রীতিমতো কবিতার পাতা দেখবেন।

কবিতার নাম :ছোট হতে চাই
কবি: মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন
ওমানিয়া, এথেন্স গ্রীস।
তারিখ ২২/০৭/ ২০০০ ইং
ছোট হতে চাই,
নিয়তি কি দেবে তাই,
কৈশোরের সেই হাসি।
ফিরে পাবো কি তার,
ফেলে এসেছি যারে,
কৈশোর কেই ভালোবাসি। করেছি নিত্য যেথা খেলা, কেটেছে আনন্দে বেলা, মধুময় ছিল সেই স্মৃতি। ছিল স্নেহ নিরস্বার্থ, বুঝিনি হিংসার অর্থ,
গলায় মিলে করে প্রীতি।
কেটেছে আম কুড়ায়ে দিন কত, পাখির বাসা খুঁজেছি শত, খুঁজে এনেছি পাখির ছানা। ছুটে যেতে দুর গাঁয়,
পালিয়েছি খালি পায়, ফিরে দেখিয়েছি কত বাহানা। তিলের ফুলে দেখেছি কত, মৌমাছি শত শত,
ধরিবার করিতাম কৌশল। কাঁচের বোতলে করে,
রাখীতাম মৌমাছি ধরে,
মাঝে মাঝে বসিয়ে দিতে হুল। নদীর হাটু জলে, খেলেছি ডুবুরি ছলে,
আনন্দে করেছি খেলা।
মাছ ধরা ছিল সখ,
দেখিতাম পানকৌড়ী বক,
বালুচরে কত কেটেছে বেলা।
গাছে খুঁজিতাম ফল,
আতা জাম জামরুল,
ভালোবাসি তাম কচি ডাব।
আমজাম ফুরালে কদবেল,
তারপর তাল নারিকেল, মা বারণ করিতেন খেতে গাব। পুষেছি ছাগলছানা, কেউ করেনি মানা,
কত এনেছি সবুজ ঘাস।
চৈত্রের দুপুরে ঘরে,
রোদের তাপে পুড়ে,
বিন্নি ধান এনেছি একরাশ। রঙিন কাগজ দিয়ে, খেলার সাথে নিয়ে, বানিয়েছি কত ঘুড়ি।
মার্বেল খেলায় ছিল হাত, যেটাই দিত বাদ,
লক্ষ্যভেদে ছিল খুব জুরি।
খেলেছি গুলালি খেলা, গ্রামে কত মেলা, এনেছি কিনে পুতুল বাঁশি।
পাশের বাড়ির মিতা, আরো ছিল সবিতা,
ভেঙে ফেলত পুতুল গোপনে আসি। খেলিতাম কানা মাছি,
সাথী নিতাম আমি বাছি,
খেলেছি বৌছিখেলা। শিউলি বকুল মিতা।
লুৎফন কলি কবিতা,
আমার স্মৃতির ভেলা।
ছোটই ভালো ছিলাম, যৌবনে কেন পা দিলাম,
এই যে বিধাতার চরম নীতি। কৈশর নিষ্পাপ ছিল, যৌবনে যন্ত্রনা দিল,
সুখ দেয় অতীত অনুভূতি।
ফিরে পেতে তারে চাই,
ফিরে কি তারে পাই, এতো সত্যি হবার নয়।
তবে এতো টুকু সুখ চাই, বিধাতারী বলে যাই।
পরপারে জেন সুখ পাই, যৌবনের হক জয়।
সমাপ্ত।

কবিতার নাম: মোনাজাত
কবি: মোহাম্মাদ মেজবাহ উদ্দিন।
তারিখ:০৫/০৩/২০২৩ইং
খোদা মোনাজাত তোমার সনে,
তুমি জানো যাহা আছে আমার মনে,
শত দুঃখ বেদনায় ঈমানি শক্তি দিও।
অতীতের পাপের মাগফেরাত করে নিও।
রমজানের প্রথম দিন তোমার কাছে চাই ,
অভাবেও রোজা যেন রাখি সকল মুসলিম ভাই।
সাধারন মাসে এক নেকির আর রোজায় সত্তর গুণ,
জিকির আজগর ছেরে দিয়ে হ্নদয়ে ধরেছে ঘুন।
এই মাসে তাই বেশি বেশি করব ইবাদত,
বাবা মা জীবিত আছে তাদের করিব খেদমত।
সাধ্যমত রমজানে করিব দরিদ্র পরিবারে দান,
একে সত্তর নেকির আশায় আখেরাতে সন্মান।
ফরজ সুন্নত নফল নামাজ পড়ে করিব জিকির,
দুনিয়ার কিঞ্চিৎ ময়া ছেরে করি আখেরাতের ফিকির।
কৈসরে গেছে চলে যৌবন গেছে ভুলে বারধ্যক্ এল চলে,
দেখি পিছন ফিরে আমল নামায় কি আছে লেখা,
এই রমজানে বেশি দরুদের উছিলায় পাইবো নবীর দেখা।
অসহায় মানুষের জন্য করি কিছু অন্নের আয়োজন,
একা একা পেট ভরলে নারাজ হবেন নিরঞ্জন।
সাধ্য মতো নিব আমি প্রতিবেসিদের খবর,
রমজানের বেশি বেশি যিয়ারত করিব বাবা মায়ের কবর।
সমস্ত আমল বৃথা যাবে নবীর সফায়াত যদি না পাই,
রমজানের বরকতের মাসে তাই বেশি বেশি দরুদ পরে যাই।
মোমেন হওয়ার জন্য হালাল রিজিক যেন খাই,
সুদ ঘুষ হারাম প্রতারনা মিথ্যে থেকে দূরে থাকি তাই।
আমার যত মনের কথা তুমি সবই জানো খোদা
সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে করিলাম ওয়াদা ।
সমাপ্ত।

রোজা রাখো নামাজ পড়ো
ওহে মমিন মুসলমান।
হালাল খাও সরল পথে চলো
শক্ত করো ঈমান।
মানুষ ঠকানো ব্যবসা ছেড়ে
ভেজাল থেকে বিরত থাকি,
আখরাতের কথা হিসাব করে
ঈমান মজবুত রাখি।
মিথ্যে প্রতারণা করে যারা
আখেরাতে পাবে তার ফল।
দুনিয়ার বাহাদুরি ক্ষণিকের
সবল মৃত্যুর সময় হবে দুর্বল ।
মানুষকে বাসতে হবে ভালো
চলবে,