মানবদেহের আঙুলের ছাপকে একজন ব্যক্তির পুরো ডেটা ব্যাংক বলা হয়। এখানেই ব্যক্তির পুরো রহস্য ও তথ্যাবলি লুকিয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের আঙুলের ছাপ সম্পূর্ণ আলাদা। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পূর্ণ মিলে যাবে। একজনের আঙুলের ছাপ অন্যজনের সাথে কোনোভাবেই সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। পৃথিবীর প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত কোনো দু’জনের আঙুলের ছাপই এক রকম হবে না।
১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের স্যার ফ্রান্সিস গোল্ট আবিষ্কার করেন- পৃথিবীর এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না, যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে হুবহু মিলে যাবে। তখন থেকেই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। মানবদেহের এই একটি আঙুলের ভাঁজে রয়েছে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সব নিদর্শন।
আধুনিক কম্পিউটার জগতের রেখা সঙ্কেত অথবা বারকোডের সাথে তুলনা করা চলে মানুষের আঙুলের এ রেখাগুলোকে। প্রতিটি মানুষ মৃত কিংবা জীবিত প্রত্যেকেরই ভিন্ন ধরনের অনন্য আঙুলের আঁকিবুকি রয়েছে। আর তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে আঙুলের রেখাগুলোকে মানুষের পরিচয়ের জন্য সন্দেহাতীতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। আঙুলের এ ছাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিশাল বিশাল গোয়েন্দা সংস্থা যেমন- এফবিআই, মোসাদ, কেজিবি, অপরাধী শনাক্ত করতে অথবা সঠিক মানুষের ধরন শনাক্ত করতে ব্যবহার করে।
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এ সত্য ১৪০০ বছর আগেই কুরআনে বর্ণিত ছিল। দু’ব্যক্তির আঙুলের ছাপের পার্থক্য এতই সূক্ষ্ম যে, কেবল অভিজ্ঞ ব্যক্তিই উপযুক্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তা শনাক্ত করতে পারে। পবিত্র কুরআন সেটি বলে দিয়েছে সেই সময় যখন মানুষ সেটি ধারণাও করত না। এ থেকে বুঝা যায় যে, এটি মহান আল্লাহর কুদরতের এক বিশাল কারিশমা।
সমাজে একই সাথে যাদের বসবাস, চলাফেরা ও ওঠাবসা, সুখ-দুঃখ হাসিকান্নায় যারা পাশে থাকে একে অপরের তারাই হলো প্রতিবেশী। কুরআন ও হাদিসে প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ ও সৌজন্য রক্ষার ওপর জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেশীর পরিচয় সম্পর্কে হজরত হাসান রহ:-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নিজের ঘর থেকে সামনের ৪০ ঘর, পেছনের ৪০ ঘর, ডানের ৪০ ঘর এবং বামের ৪০ ঘর তোমাদের প্রতিবেশী। (আদাবুল মুফরাদ-১০৮)
১. প্রতিবেশীর গুরুত্ব : হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- নবী সা: বলেন, ‘জিবরাইল আ: আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে এত অধিক নসিহত করতে থাকেন যে, আমি মনে মনে ভাবলাম, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকে ওয়ারিশ বানাবেন।’ (আদাবুল মুফরাদ-১০০)
Rjrahul 1999
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Manjurulkader Babul
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?