শেখের তথাকথিত অবদান
---------------------------------------
স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরোটা সময় তিনি কারাগারে। আবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন স্বেচ্ছায়। তারচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে গ্রেফতার হবার আগে স্বাক্ষর করে যাননি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। ৭ই মার্চে যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটিও ৪জন বুদ্ধিজীবীর লেখা। তিনি মূলত করেছিলেন কি গলাবাজি ছাড়া?
আবার ৭২-৭৫ তিন বছর তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে বেসরকারি হিসেবে দুর্ভিক্ষ ও রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রায় পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলো অর্থাৎ বছরে গড়ে ১ লক্ষ ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ আর গড়ে প্রতিদিন ৪৫৬ জন মানুষ! গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে দেশে বাকশাল কায়েম করতেও দ্বিধা না করা সেই একনায়কতন্ত্রের খলনায়ককে বানানো হয়েছে জাতির পিতা। শেখ কামালের মত একজন চরিত্রহীন ব্যাংক ডাকাতের বাবাকে বানানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু। কি বিচিত্র এই দেশ, ভাবতে পারেন?
এত মহান মানুষ স্বপরিবারে নিহত হবার পরও মানুষ শোক পালন না করে উল্টো মিষ্টি বিতরণ করেছিলো। শুনেছি সেদিনও নাকি দেশে মিষ্টির ঘাটতি পড়ে গেছিলো, যেভাবে ঘাটতি পড়েছিলো গত ৫ই আগস্ট হাসিনার পতনের পরে! চিন্তা করেন সে এতটাই মহান মানুষ ছিলো যে তার জানাযা পড়ার লোক পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন যেমন পাঁচ তারিখে আওয়ামীলীগের পতনের পর থেকে আওয়ামীলীগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ১৮-১৯ বছর ক্ষমতায় না থেকেও বিএনপি জামায়াত দেশেই ছিলো, এভাবে গর্তে ঢুকে যেতে হয়নি। আমার তো মনে হয় ৫ তারিখ শেখ হাসিনার মৃত্যু হলে তার জানাজা পড়ার জন্যেও মানুষ খুঁজে পাওয়া যেতো না।
ইতিহাস কি নির্মম! তাকে যত জোর দিয়ে চেপে ধরবেন সে তত বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সামনে বেরিয়ে আসবে। এবারও তাই হচ্ছে.... বিনম্র শ্রদ্ধা লিখার আগে ৭২-৭৫ সালের শাসন আমলে সত্যিকার ইতিহাস পড়ে আসুন সুশীল সাহেবরা.....