রাতের ফযিলতপূর্ন কিছু আমল
________________________________
১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে
নেয়া । -(বুখারীঃ ৬৩২০)
২. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ
করা । -(বুখারীঃ ৫৬২৩)
৩. শয়নের সময় দু'আ পাঠ করা (যেমনঃ
'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু ওয়া
আহইয়া' । -(বুখারীঃ ৬৩১৪)
৪. ডান কাৎ হয়ে শোয়া । -
(বুখারীঃ৬৩১৫)
৫. নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে হলে
শরীরের নাপাক স্থান ধুয়ে অযু করে
নেয়া । -(বুখারীঃ ২৮৮)
৬. সাধারণত সতর খুলা অবস্হায় না
শোয়া । -(তিরমিযীঃ ২৭৬৯)
৭. বিনা কারণে উপুড় হয়ে না শোয়া
। -(তিরমিযীঃ ২৭৬৮)
৮. ঘুমানোর সময় আগুনের বাতি
জ্বালিয়ে না রাখা ।
-(তিরমিযীঃ১৮১৩)
৯. দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন
করে শোয়া । -(মুসলিমঃ ৫৯০১)
১০. দুঃস্বপ্ন দেখলে প্রথমে বাম
দিকে তিনবার থুথু ছিটা এবং
"দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে -
হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আশ্রয়
চাই" এভাবে তিনবার বলা । দুঃস্বপ্ন
কাউকে না বলা । -(মুসলিমঃ ৫৯০২)
(১১) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে, একজন ফেরেস্তা তার পাশে থেকে সারা রাত তাকে পাহারা দিবে, এবং শয়তান সারা রাত তার নিকটে যেতে পারবেনা না।
__________(বুখারি-২৩১১)।
(১২) রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ।
__________(বুখারি- ৪০০৮)।
(১৩) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে
উপকারী হবে।
__________(সহীহ তারগীব-৬০২)।
(১৪) একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাদের বললেন, তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে সমর্থ হবে? এতে সকলের কাছে বিষয়টি ভারী মনে হলো। বলল, একাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে, হে আল্লাহর রাসূল?! তিনি বললেন, সূরা ইখলাস হল এক তৃতীয়াংশ কুরআন।
__________(বুখারী- ৫০১৫)
(১৫) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘য়া টি বলতেন।
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ
(আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
❛হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো❜।
__________(বুখারি- ৬৩২৪)।
(১৬) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) হযরত আলী এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্, এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।
__________(বুখারী- ৩৭০৫)।
(১৭) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন,এবং এই সূরা কবরের আযাবের প্রতিরোধকারী হিসাবে থাকবেন।
__________(সহীহাহ ১০৪০) এছাড়াও তিরমিজি-২৮৯০)।
➤ আল্লাহ্ পাক আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দান করুক,, ❤
🌸 আমিন। 🌼
শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইনশাআল্লাহ !
রাতের ফযিলতপূর্ন কিছু আমল।
"""""/ বিস্তারিত উপরে /"""""